• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার যে ৫ লড়াই ভোলা যাবে না সহজে

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৩  

চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের লড়াই মানেই যেন বিশেষ কিছু। এর আগে এই দুই দল বেশ কিছু ম্যাচ উপহার দিয়েছে, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে সবসময়। 

পাঠকদের জন্য থাকছে ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তির পাঁচটি স্মরণীয় ম্যাচের স্মৃতিচারণ:

মরুর ঝড়: ২২ এপ্রিল ১৯৯৮ 
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শারজাহতে শচীন টেন্ডুলকারের ঝকঝকে ইনিংসটি এখনো অনেকের মনে দাগ কেটে আছে। ডেমিয়েন ফ্লেমিং, মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ ও স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে নিয়ে সাজানো অস্ট্রেলিয়ান ঐ সময়কার বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লিটল মাস্টার ১৩১ বলে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

মরু শহরের প্রচন্ড গরমে ম্যাচটি প্রায় আধা ঘন্টা বন্ধ ছিল। যে কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলতে ভারতের সামনে ২৭৬ রানের পরিবর্তে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ২৩৫। ভারত অবশ্য সেদিন টার্গেটে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু টুর্নামেন্টের তৃতীয় দল নিউজিল্যান্ডের থেকে ভারতকে রান রেটে এগিয়ে দিয়েছিল টেন্ডুলকারের মাস্টার ক্লাস ইনিংস। দুইদিন পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে ভারত শিরোপা জয় করে। ফাইনালেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। 

ক্লোজ কল: ৫ নভেম্বর, ২০০৯
প্রায় এক দশক পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেন্ডুলকারের আরো একটি ক্যামিও ইনিংস দেখেছিল পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। হায়দারাবাদে সাত ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের ১৭৫ রনের ইনিংসের পরেও অবশ্য ভারত ৩ রানে পরাজিত হয়েছিল। তবে ম্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছিলেন টেন্ডুলকার।

এ ম্যাচে রিকি পন্টিংয়ের ১১২ ও শেন ওয়াটসনের ৯৩ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ৩৫০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। পাহাড় সমান রান করেও টেন্ডুলকারের কাছে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া প্রায় হেরেই গিয়েছিল। ১৪১ বলে টেন্ডুলকারের ১৭৫ ও সুরেশ রায়না ৫৯ রানের ইনিংস উপহার দিলেও বাকি ব্যাটাররা ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। 

নকআউট পাঞ্চ: ৪ মার্চ, ২০১১
২০১১ সালে ভারতের মাটিতে দুই হেভিওয়েট দল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং ১০৪ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। আহমেদাবাদে ২৬১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে টেন্ডুলকার ও গৌতম গম্ভীরের হাফ সেঞ্চুরির পর যুবরাজ সিংয়ের অপরাজিত ৫৭ রানের উপর ভর করে ভারত ১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। 

এই ম্যাচে জয়ের পর ভারত সেমিফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে পরাজিত করে। এরপর ফাইনালে শ্রীলংকাকে পরাজিত করে ১৯৮৩ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে। ম্যাচ সেরা যুবরাজ সিং স্বীকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার চাপ সবসময়ই ভিন্ন।

ব্যাটিং ধামাকা: ১৩ অক্টোবর, ২০১৩
জয়পুরের হাই স্কোরিং ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাত ওয়ানডের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভারত ১-১’এ সমতা ফিরিয়েছিল। কোহলি মাত্র ৫২ বলে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের  এটাই দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। 

অস্ট্রেলিয়ার করা ৩৫৯ রানের জবাবে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান মিলে ১৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। রোহিত ১৪১ রানে অপরাজিত থাকলেও ধাওয়ান ৯৫ রানে আউট হন। এরপর বাকি কাজটুকু সেড়েছেন কোহলি। ৩৯ বল বাকি রেখে ভারত ৯ উইকেটে বিশাল জয় তুলে নেয়। 

মধুর প্রতিশোধ: ২৬ মার্চ ২০১৫
চার বছর পর সিডনিতে ২০১১ সালে বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল ভারতকে স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরিতে ৯৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। 

অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। স্মিথ ৯৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ৩২৮ রানের লড়াকু ইনিংস গড়ে তোলে।

ধোনির ৬৫ রান সত্ত্বেও ভারতীয় ব্যাটিং ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায়। জেমস ফকনার ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –