• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেতে চায় পাকিস্তান

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩  

 
বিশ্বকাপে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ কোনটি? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্দ্বিধায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে ভারত বনাম পাকিস্তান লড়াই। অন্য ম্যাচগুলো যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক না কেন, সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের চোখ থাকে ঐ একটি ম্যাচের দিকেই।

অধীর আগ্রহে সবাই ঐ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। স্টেডিয়াম তো বটেই, টেলিভিশনে লাখ লাখ চোখ খুঁজে ফিরে প্রিয় তারকাদের। জয়ী দলের মধ্যে যেমন অন্যরকম এক স্বস্তি দেখা যায়, তেমনি পরাজিত দলটি যেকোন ভাবেই অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দেয়। 

যদিও এই অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মধ্যে ভারতই বেশি উপভোগ করেছে। কারণ ১৯৯২ সালে সিডনিতে প্রথমবারের মত মুখোমুখি হবার পর বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সাতবারের মোকাবেলায় একবারও জিততে পারেনি পাকিস্তান।

শনিবার আহমেদাবাদে বাবর আজমের দল অন্তত এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। 

এটা কি ভাগ্য? সাত টসের মধ্যে ভারত পাঁচবারই জয়ী হয়ে বাড়তি কোন সুবিধা পেয়েছে কি না? পাকিস্তান কি চাপের মধ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ভেঙ্গে পড়ে? এই প্রশ্নগুলো প্রতিবারই উঠে আসে।

পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা এ পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের প্রতিবেশি দেশ প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ডে এই ৭-০ ব্যবধান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। সত্যি বলতে এই পরাজয়ের বিশেষ কোন কারণ আমি এখনো বের করতে পারিনি।’

ভারতের কাছে চারবার পরাজিত দলের অন্যতম সদস্য ইনজামাম-উল-হক বিশ্বাস করেন চাপ একটি অন্যতম বড় কারণ। তিনি বলেন, ‘হতে পারে চাপ সামলে ওঠার ব্যপারে ভারত আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। তাছাড়া টস জয়ের ব্যপারেও তারা সুবিধা পেয়েছে।’

যদিও পাকিস্তান দুটি ম্যাচে টসে জিতেও ভাগ্য ফেরাতে পারেনি। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে শচীন টেন্ডুলকার ও ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টারে রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ের কাছে পাকিস্তানকে হার মানতে হয়।

এই দুটি ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান ভারতকে প্রথম ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে ২০১৯ সালের ম্যাচটিতে হারের জন্য অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের বাজে কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়।

শনিবার আহমেদাবাদে এই পরিসংখ্যান কি ৮-০ হবে নাকি ৭-১’এ নিয়ে স্বস্তি ফেরাবে পাকিস্তান শিবির, তা সময়ই বলে দেবে। যদিও আশাবাদী ওয়াসিম বলেছেন, ‘এই খরা একদিন কাটবেই। বর্তমান দলটিকে নিয়ে আমি আশাবাদী।

তাদের মধ্যে সব ধরনের ক্ষমতা আছে। পাঁচ পরাজয়ের পর ২০২১ সালে দুবাইয়ে আমরা টি-২০ বিশ্বকাপে পরাজয়ের খরা কাটিয়েছিলাম। এখন ৫০ ওভারের ম্যাচে নিজেদের ফিরিয়ে আনার অপেক্ষা।’

– দৈনিক ঠাকুরগাঁও নিউজ ডেস্ক –